শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২১
একটা সময় চলন বিলে মাছের প্রাচুর্যতা থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে সেই প্রাচুর্যতা আর নেই। চলনবিল এলাকায় ২৫০টি অস্থায়ী শুঁটকির চাতাল থাকলেও বর্তমানে আছে ১২০ টি। কেননা চলন বিলের সর্বত্রই এখন মাছের সংকট ফলে কমতে শুরু করেছে শুটকি মাছের উৎপাদন।
চাতাল মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলের মাছের শুঁটকি আমেরিকা, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, বাহরাইন, দুবাই, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ ২৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
কিন্তু বর্তমানে মাছের অপ্রতুলতার পাশাপাশি শুকানো শুঁটকি মাছ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে অনেক সময় শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চাটমোহরের শুঁটকি ব্যবসায়ী আ. মতিন জানালেন, অগ্রহায়ণ মাসে পানি না শুকানো পর্যন্ত চাতালগুলো চালু থাকে। এসময় শুটকি শুকানোর জন্য সহস্রাধিক পরিবার চাতালগুলোতে কাজ করেন। কিন্তু আগের মত সেই কর্ম চঞ্চলতা নেই।
কারণ এবার চলন বিলে পর্যাপ্ত মাছ ছিলনা। মাছের সংকটের কারণে চলতি বছর শুঁটকির উৎপাদনও কম হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, চলনবিলের মাছের সুনাম রয়েছে। এবার বর্ষার সময়টা কম ছিল। ফলে মাছের স্বল্পতা রয়েছে।
তিনি মনে করেন এ অঞ্চলে শুঁটকি সংরক্ষণাগার ও বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়