মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||
বৈশাখ ৩০ ১৪৩১
|| ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮
চলনবিল অঞ্চলের বিল ও নদীতে শুরু হয়েছে বাউত উৎসব। শত শত মানুষ মেতে উঠেছে মাছ ধরার এই বাউত উৎসবে। চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর উপজেলার খলিশাগাড়ি বিলে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পলো বাওয়া বাউত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর এই সময় পলো দিয়ে বিলে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরা হয় বলে একে স্থানীয় ভাষায় বাউত উৎসব বলা হয়। পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, আটঘরিয়া, পাবনা সদর, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশ এলাকার শত শত মানুষ বাউত উৎসবে যোগ দেয়।
এ উৎসবে যোগ দিতে আসা বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল গ্রামের আব্দুল আলী, আরশেদ আলী, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামের আ. ছাত্তার, ধানকুনিয়া গ্রামের মোতালেব হোসেন, বোয়ালমারী গ্রামের সাইদুর রহমানসহ অন্যান্য বাউত জানান, হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে মাছ ধরার আনন্দই আলাদা। মাছ সবাই পায় না। একজন পেলে আনন্দ ভাগাভাগি করে সবাই। কে মাছ পেলো আর কে পেলো না, তা নিয়ে দুঃখ নেই কারও। প্রতি বছর আনন্দের জন্য, মাছ ধরার জন্য এই সময়ের অপেক্ষায় থাকেন তারা।
শুধু খলিশাগাড়ি বিলেই নয়। বাউতের দল নেমে পড়ে চাটমোহরের গুমানী নদীতেও। পলো ও জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। অনেকে মাছ পেয়ে আনন্দিত আবার মাছ না পেয়েও অনেকে উৎসবে আসতে পেরেই খুশি।
চাটমোহর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, বাউত উৎসব গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। দেশের অন্যান্য এলাকায় এ উৎসব বিলুপ্তির পথে। তবে এ এলাকায় ঐতিহ্যটি এখনও টিকে আছে। বড় বিল, ডেঙ্গার বিল, খলিশাগাড়ি বিল, রহুল বিল, ডিকশীবিলসহ অন্যান্য বিলে বাউতরা মাছ ধরছে।
তবে বাউত উৎসবের ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। দেশি প্রজাতির ছোট মাছ, শেওলা জাতীয় প্রাকৃতিক মৎস্য খাদ্য, পানির উপকারী অণুজীব এতে নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সতর্কতা দরকার।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়