বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের আত্রাই নদীতে সেতু নির্মাণে অনেকবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১০ গ্রামের মানুষ। বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হন স্থানীয়রা।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, আত্রাই নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সাঁকো উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়েই সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন মানুষ।
উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিলহরিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হান্নান (৭৩) বলেন, ‘সেতু নির্মাণে অনেকবার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও বাস্তবে তা আর হয়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজারো মানুষ।’
নদীর পূর্ব পাশের একটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক জানান, আত্রাই নদীতে সেতু না থাকায় তাঁদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। নদীটি খরস্রোতা হওয়ায় খেয়া নৌকায় পারাপার হতে সময় লাগে প্রায় ২০ মিনিট। ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় আত্রাই নদী পার হয়ে। ভরা বর্ষায় নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাবগাড়ী বাজারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলনবিল অধ্যুষিত এলাকাটি কৃষি প্রধান। সাবগাড়ী বাজার সংলগ্ন ঘাট হয়েই নদীর উত্তর পাশের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ী, কারিগরপাড়া, হরদমা এবং সিংড়ার কৃষ্ণনগর, কাউয়াটিকিরি, পানলি ও ডাহিয়া গ্রামের মানুষ তাঁদের উৎপাদিত ফসল পরিবহন করেন। এ ছাড়া নদীর পশ্চিম পাশের সাবগাড়ী, রাবার ড্যাম, যোগেন্দ্রনগর ও ভিটাপাড়া গ্রামের মানুষও ফসল পরিবহনে দুর্ভোগে পড়েন।’
খেয়া নৌকার মাঝি সাদেক আলী বলেন, ‘প্রায় ২৮ বছর যাবৎ নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করছি। এ জন্য বছরে সবার কাছ থেকে নির্দিষ্ট টাকা এবং ধান নিয়ে থাকি। বর্ষা মৌসুমে খেয়া থাকলেও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করি। তবে এখানে একটি সেতু হলে মানুষের কষ্ট অনেক লাঘব হবে।’
এ বিষয়ে কথা হলে স্থানীয় সাংসদ মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘শিগগিরই আত্রাই নদীর ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়