বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২
চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর হাটে জমে উঠেছে কলা বেচাকেনার মোকাম। ফড়িয়া-পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম কলার এই মোকামটি। স্বাদে ভালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এর চাহিদা ও সুনাম। তাইতো দূরদুরান্তের ফরিয়া, পাইকাররা ছোট বড় ট্রাকে কলা লোড দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কলার বাম্পার ফলন সেই সাথে ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় মুখে হাসি ফুটেছে উপজেলার কৃষকদের।
মোকামে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ভ্যান, ট্রলি লছিমন-করমিনে করে হাটে কলা নিয়ে আসছেন চাষীরা। সেই কলা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে হাট জুড়ে। যতদুর চোখ যায় শুধু কলা আর কলা। পাশেই দাড়িয়ে রয়েছে সারি সারি কলাবাহী ট্রাক। এরপরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত ফড়িয়া-পাইকাররা ক্রয় করে ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন। শুক্র শনি বাদে সপ্তাহে ৫ দিনই হয় বেচাকেনা ।
নাজিরপুর হাট ইজারাদার নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ছাড়াও নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রাম থেকেও প্রচুর পরিমানে কলা আসে এই হাটে। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কলা লোড হয়ে দেশের নানা প্রান্তে যায়। প্রতি কাইন কলা আকার ভেদে ৩শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক টন কলা আসে এই হাটে।
উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কলা চাষী আমিনুল ইসলাম বলেন, মাছের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কলা চাষ করেছি। মাছে লাভ কম হলেও কলায় ভালো লাভ হয়েছে। একবার কলার গাছ লাগালে ৩ থেকে ৪ মৌসুম বিক্রি করা যায়। এবছর ৩০ বিঘার পুকুর পাড়ে কলার চাষ করেছিলাম। খরচ বাদে শুধু কলাতেই প্রায় ৪ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
আরেক চাষী মান্নান সরকার জানান, ৫ বছর যাবত কলা চাষ করেন তিনি। জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এখানে ফলন ভালো হয়। এবছর ১০ বিঘা জমিতে সাগর কলা, অমৃত সাগর, মেহর সাগরসহ বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ৩শ থেকে ৪শ চারা রোপণ করা যায়। বছর খানেকের মধ্যেই রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যাবে। তার কলা চাষে সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই কলা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। গত বছর উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছিলো। এবছর আরো ৫০ হেক্টর কলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কলা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়