শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কাউন্সিলরদের নাম ঘোষণায় জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বাছাই কমিটি সাক্ষাৎকার নিয়ে যাদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল তাদের কয়েকজনকে বাদ দিয়ে অন্যদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বাছাইয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের পরেও বাদ পড়ার পেছনে মনোনয়ন বাণিজ্য একমাত্র কারণ হিসেবে কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতারা।
বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, টানা দুই দিন সাক্ষাৎকার শেষে ৭ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির জন্য মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। যাতে মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেরই নাম আসেনি। অথচ বিএনপির কাউন্সিলরদের মনোনয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত মনোনীতদের নামের তালিকাও পাওয়া গেছে। সেই তালিকার সঙ্গে বিএনপির তালিকায় ৬টি স্থানে হেরফের পাওয়া গেছে। ৫নং ওয়ার্ডে বাছাই কমিটি বুলবুল আহমেদ মোল্লা, ১৩নং ওয়ার্ডে মো. শাকিল মোল্লা, ২৯নং মো. এনায়েত হাফিজ, ৩৪নং ওয়ার্ডে মো. মাসুম খান রাজেশ, ৪০নং ওয়ার্ডে আজহারুল ইসলাম সেলিম এবং ৫২নং ওয়ার্ডে প্রার্থীর ঘর ফাঁকা রাখা হয়।
গুলশান কার্যালয়ে থেকে বাছাই কমিটির তালিকা কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হেরফেরের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, গুলশান কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ৫২ ও ৫৪ ছাড়া বাকি সব ওয়ার্ডের প্রার্থী ৬ জানুয়ারি রাত ১০টার আগেই চূড়ান্ত করে। এরপরেই তালিকায় বেশ কয়েকটি নাম পরিবর্তনের জন্য নেতাদের চাপ দেন চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টা। যাতে জড়িত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেকে সিনিয়র নেতা।
এর কারণ জানতে তালিকায় নাম থাকার পরেও বাদ পড়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা প্রার্থী বাছাই নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। বিপুল অর্থের বিনিময়ে কয়েকজন প্রার্থীর নাম সুকৌশলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জালিয়াতির এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। এ ছাড়া গত নির্বাচনের পরে আমেরিকাতে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরে শুধু মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্যই ঢাকা মহানগরের সাবেক এক নেতা ঢাকায় এসেছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়