বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ফাইল ছবি
বর্ষায় জলাবদ্ধতা আর শুকনোয় সেচ সংকটের নাটোরের গুরুদাসপুরে পাঁচটি মৌজায় ৯৭২ হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল ফলাতে পারেন না কৃষক।
এ সব জমিতে তিন ফসল ফলাতে পরিকল্পিত সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ধারাবারিষা, চলনালী-চরকাদহ, কান্দিপাড়া, দাদুয়া ও তালবাড়িয়া- উদবাড়িয়া, পাঁচ শিশা, নারিবাড়ি মৌজায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার ৮৯০ হেক্টর এলাকার কৃষি জমিতে ফলবে তিনটি ফসল।
এ জন্য ওই এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ৭ কিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশনের নালা সংস্কার করে পাকা করা হবে। যাতে করে বর্ষায় খেতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন ও শুকনোয় পানি ধরে রেখে সেচ সচল রাখতে পারেন কৃষক।
এ জন্য সুবিধাজনক স্থানে পাঁচটি জলকপাট নির্মাণ করা হবে। খেতের ফসল ও কৃষকদের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হবে সাতটি বাঁশের সাঁকো। নালার পানিতে চাষ করা হবে মাছ। একই সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষায় রোপণ করা হবে নানা প্রজাতির গাছ।
এলজিইডির নাটোর নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সুবিধাভোগী কৃষকদের নিয়ে গঠিত একটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ওই প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।
এ লক্ষ্যে বুধবার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সিধুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কৃষাণ-কিষাণীদের নিয়ে সচেতনতামূলক এক সাধারণ সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
এলজিইডির নাটোরের নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল মতিন, উপজেলা প্রকৌশলী এএনএম ওয়াহিদুজ্জামান, প্রকল্পে নিযুক্ত সহযোগী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান ও সমাজবিজ্ঞানী কামরুন্নাহারসহ এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পরে আবদুস সালামকে সভাপতি করে ২০ সদস্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জলাবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশনের অভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। কমছে কৃষি জমির পরিমাণ ও ফসল। পরিকল্পিতভাবে বেশি ফসল ফলাতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশ ও সমাজবিজ্ঞানীদের সহায়তায় জরিপ কাজ শেষ করে চূড়ান্তভাবে এ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে। জেলায় এ রকম সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল মতিন বলেন, বৃষ্টি-বন্যার কারণে ওই এলাকার কৃষি জমিতে একটির বেশি ফলস ফলানো সম্ভব হয় না। কোনো কোনো জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এলাকার কৃষকরা লাভবান হবেন। ফলবে তিন ফসল। সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশ উজ্জীবিত হবে।
স/এমএস
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়