ব্রেকিং:
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাথর প্রতারণার অভিযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক পলকের শ্যালকের ইটভাটায় পুড়ছে কৃষকের ফসল নাটোর-১: বিএনপির একাধিক প্রার্থী, সরব জামায়াত, নিশ্চুপ ১৪ দল ইট চুরির অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে একজন আটক
  • বৃহস্পতিবার   ১৯ জুন ২০২৫ ||

  • আষাঢ় ৪ ১৪৩২

  • || ২২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

আজকের নাটোর
সর্বশেষ:
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮ টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাথর প্রতারণার অভিযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক পলকের শ্যালকের ইটভাটায় পুড়ছে কৃষকের ফসল নাটোর-১: বিএনপির একাধিক প্রার্থী, সরব জামায়াত, নিশ্চুপ ১৪ দল ইট চুরির অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে একজন আটক
১১

আমের ক্রেতা নেই অর্ধেক দামে বিক্রি

আজকের নাটোর

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৫  

নাটোরে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। সারি সারি বাক্স বোঝাই করে রাখা হয়েছে আম। ক্রেতার দেখা নেই। লালপুরের আহমেদপুর একটি আড়ত থেকে তোলা ছবি

নাটোরে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। সারি সারি বাক্স বোঝাই করে রাখা হয়েছে আম। ক্রেতার দেখা নেই। লালপুরের আহমেদপুর একটি আড়ত থেকে তোলা ছবি

নাটোরের লালপুরে আমের দামে ধস নেমেছে। ক্রেতা না থাকায় গত বছরের তুলনায় অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। আমচাষি ও বাগান ব্যাপারীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন অনেকেই। 
নাটোরের সবচেয়ে বড় আমের বাজার আহমেদপুর ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমণ লক্ষ্মণভোগ ৪৫০-৫০০ টাকা, হিমসাগর ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, আম্রপালি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ল্যাংড়া ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, হাঁড়িভাঙা ১৫০০-১৬০০ টাকা, গুটি আম ৫০০-৫৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এসব আম দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। 
রোববার আহমেদপুর বাজারে মেসার্স রউফ ট্রেডার্সের মালিক হাজী আব্দুর রউফ সমকালকে বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ভালো থাকলেও ১০ দিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। 
আহমেদপুর বাজার ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি হিমসাগর ৩০-৩৫ টাকা, লক্ষ্মণভোগ ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি দাম আরও কম। এত কম দামে আম বিক্রি করলে লাভ দূরের কথা বাগান কেনার টাকাও উঠবে না বলছেন ব্যাপারীরা। 
চলতি বছর ওয়ালিয়া গ্রামের আম ব্যবসায়ী শুভ আলী ৮০ হাজার টাকা ঋণ ও জমানো টাকাসহ মোট ৫ লাখ টাকায় ১০টি বিভিন্ন জাতের আমের বাগান কিনেছেন। শুরুতে মোটামুটি ভালো দামে আম বিক্রি করেছেন। ১০ দিনের ব্যবধানে দাম ও চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রি প্রায় বন্ধ। 
শুভ আলী আক্ষেপ করে বলেন, আম পেকে পড়ে যাচ্ছে। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে গাছ থেকে পাড়তে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে লাভতো হবেই না, উল্টো ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। 
ব্যবসায়ী ইনছার আলী বলেন, গত বছর এক কেজি পাকা হিমসাগর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে। এবার সেই আম ৩০-৩৫ 
টাকা দরেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। বাজারে আমের চাহিদা নেই। 
আম বাগানী সোহেল রানা ও শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ দিন আগে যে বাগান ৫০ হাজার টাকা দাম ছিল, এখন সেই বাগানের দাম বলছে ২০-২৫ হাজার টাকা। তারপরেও বাগান কেনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। অব্যাহত লোকসানের কারণে অনেক চাষি আবাদ বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকে ক্ষোভে বাগান কেটে ফেলছেন। বিদেশে আম রপ্তানির উদ্যোগ না নিলে আম চাষে সুদিন ফিরবে না বলে জানিয়েছেন তারা। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ঈদ ও গরমের কারণে সব জায়গায় আমের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে দাম বাড়বে। 

আজকের নাটোর
আজকের নাটোর
নাটোর বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর