শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২১
নাটোরের লালপুর উপজেলার ইসলামপুরে সেই হাড়ভাঙা ‘কবিরাজ গ্রামে’ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার জানা যায়, অভিযানের খবর পেয়ে শতাধিক কবিরাজ পালিয়ে গেছেন। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক ও সিভিল সার্জন মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়।
গত ২০ বছর ধরে গাছগাছড়া দিয়ে হাড়ভাঙা রোগীদের চিকিৎসার নামে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন ইসলামপুর গ্রামের শতাধিক কবিরাজ। দিনমজুর, ভ্যানচালক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এ অপচিকিৎসার সঙ্গে জড়িত।
এ পেশায় থেকে অনেকে বিত্তশালী হয়েছেন। গ্রামে গড়ে উঠেছে অট্টালিকা। মোড়ে মোড়ে বসেছে দোকানপাট। অন্তত ৫০টি কবিরাজ বাড়িতে রোগীদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই গ্রামটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
এদিন প্রশাসনের অভিযানে খবর পেয়ে পালিয়ে যান কবিরাজরা। তবে নতুন করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা হাড়ভাঙা রোগীরাও যে যার মতো গ্রাম ছেড়েছেন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সম্প্রতি জানতে পারেন যে, লালপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে হাড়ভাঙা চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা চলছে।
এ ধরনের অপচিকিৎসা বন্ধে প্রতিটি কবিরাজ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পরে যেন এমন অপচিকিৎসা না চলতে পারে, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন ডা. তৈমুর রহমান বলেন, হাড়ভাঙার ক্ষেত্রে কবিরাজি চিকিৎসার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। মানুষকে হিপনোটাইজ করে মান্ধাতার আমল থেকে একশ্রেণির লোক এসব কাজ করছে।
গাছগাছড়া বিষয়টি আসলে কিছুই না। ভাঙা হাড় মুখোমুখি করে রাখলে এমনিতেই জোড়া লেগে যায়। এসব চিকিৎসার কারণে অনেক রোগী প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়