বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২০
প্রমাণিত দুর্নীতির মামলায় দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও তার মুক্তির জন্য দল ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষণীয় কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
উপরন্তু তার মুক্তিকে উপজীব্য করে খোলা হয় ‘দলীয় বাণিজ্য ঘর’। বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরা দলীয় নেত্রীর মুক্তির আশায় সেই ঘরে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সেসব সোজা গিয়ে জমা হচ্ছে লন্ডনে আয়েশি জীবন যাপনকারী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিভিন্ন বেনামী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। আর এ কাজে বাংলাদেশ থেকে তাকে পূর্ণ সহায়তা করছে তার ঘনিষ্ঠ সহচর ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এমতাবস্থায় কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া বাধ্য হয়ে সেই প্রচলিত প্রবাদ ‘আপন ভালো পাগলেও বোঝে’ উচ্চারণ করে দ্বারস্থ হলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন তার বোন সেলিমা ইসলামসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য। এসময় খালেদা পরিবারের বাকি সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে বোন সেলিমাকে অনতিবিলম্বে আইনজীবীদের মাধ্যমে তার মুক্তির ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। সঙ্গে এও বলেন, তিনি তার অতীত সব কৃতকর্মের দায় মাথা পেতে নেবেন। তার জন্য তিনি মানসিকভাবে তৈরি। এরপর সেখান থেকে ফিরে খালেদার জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম আইনজীবীর শরণাপন্ন হন বলে জানা গেছে।
এরই প্রেক্ষিতে ১০ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ ও কারাগার থেকে মুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। তিনি সরকারি ডাকযোগে এ আবেদনটি পাঠান এবং বিষয়টি নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। আবেদনের অনুলিপি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। এটা পরিবার কিংবা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) পক্ষ থেকে করা হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। আমার ধারণা, ওই আইনজীবী নিজে পরিচিতির আশায় এ আবেদন করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অবশেষে খালেদা জিয়ার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তিনি অবগত হয়েছেন, দল ও পরিবার কোনটাই তার জন্য খুব বেশি চিন্তিত নয়। এ কারণে তিনি ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ নীতি অবলম্বন করেছেন। মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েছেন নিজের সব অপকর্ম অকপটে স্বীকার করে নেওয়ার। যার কারণে ওই আইনজীবী দলীয় নেত্রীর মুক্তি চেয়ে আবেদন করেছেন।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়