পিলখানা হত্যাকাণ্ড : খুনিদের রক্ষায় তৎপর ছিলো বিএনপি-জামায়াত
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃসহ অত্যাচার, অনাচার এবং দুর্নীতির প্রেক্ষিতে দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বজন প্রশংসিত নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার মাত্র ৪৭ দিনের মাথায়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়।
বর্বরোচিত ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সর্বমোট ৭৪ জন প্রাণ হারায়। এর মধ্যে ৫৭ জন ছিল দেশের সূর্যসন্তান মেধাবী সেনা কর্মকর্তা। এটি সহজেই অনুমেয় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি নবগঠিত একটি সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল।
কয়েকটি ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির আগে থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিডিআর বিদ্রোহ যে সংঘটিত হবে, তা জানতেন। এ জন্য তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে একটি কালো কাচ ঘেরা গাড়িতে করে সেনানিবাসের তৎকালীন তার বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি সেনানিবাসের বাসায় ছিলেন না। তিনি ছিলেন অজ্ঞাত স্থানে। বিডিআর বিদ্রোহ প্রশমিত হলে খালেদা জিয়া অজ্ঞাত স্থান থেকে বেরিয়ে এসে তড়িঘড়ি বিবৃতি দেন, ‘বিডিআর সদর দপ্তরে সেনা কর্মকর্তা হত্যার পেছনে ছিল রহস্য। সেখানে ষড়যন্ত্র করে সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে দুর্বল করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়া এ জাতীয় বিবৃতি দিলেও ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি কোথায় ছিলেন, কেন সেনানিবাসের বাসা ত্যাগ করলেন, কেন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে লন্ডনে অবস্থানরত পুত্র তারেক রহমানের সাথে ৮৮ মিনিটের ফোনালাপ করলেনÑতার কোনো জবাব কোনো সময়েই তিনি বা তার দল দেয়নি; যা আজো মানুষের কাছে রহস্যে ঘেরা রয়ে গেছে।
এছাড়া আরো কিছু প্রশ্নও মানুষের মনে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে যেমন, পিলখানায় বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু কার নির্দেশে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বাহিনীকে খাবার ও পানি যোগান দেয় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খুনীদের পালিয়ে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেয়।
কার নির্দেশে খুনিদের বেসামরিক পোশাক ও নৌকা জোগাড় করে দেয়। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকে কার নির্দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর প্রচারপত্র বিলি করে বিডিআর বাহিনীকে অশান্ত করেছিল?
সেসময় আ’লীগ সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সেনা কর্মকর্তাদের সকল দাবি মেনে নেয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিএনপি-জামায়াত জোট বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সংক্রান্ত কার্যক্রম ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে সেনাবাহিনী এবং দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজে জড়িত ছিল; এমনকি এখনও জড়িত রয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অনেক নেতাই ওই সময়ে সেনা বিধি ৫ (পাঁচ) মোতাবেক সেনা আইনে বিদ্রোহের বিচারের বিরোধিতা করতে থাকেন। সে সময় এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা যেসব বক্তব্য প্রদান করেন তাতেও প্রতীয়মান হয় নৃশংস বিডিআর হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত খুনিদের রক্ষায় তখন এবং এখনও তৎপর রয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট।
সে সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী টি এইচ খান বলেছিলেন, ‘সেনা আইনে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সম্ভব নয়। এই রেফারেন্স ষড়যন্ত্রমূলক এবং সুপ্রিম কোর্ট মতামত দিতে বাধ্য নয়।’
বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব উদ্দিন বলেছিলেন, ‘সেনা আইনে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে সেনা বিধির ৫ ধারায় দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।’
জামায়াত-বিএনপি জোটের আদর্শপুষ্ট আইনজীবী মাহমুদুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেওয়া সম্ভব নয় বিধায় সেনা আইনে বিচার সম্ভব নয়।’
জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা এই ধরণের মতামত প্রদানের আগে বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগদান করেন এবং সেখান থেকে নির্দেশিত হয়ে তারা প্রায় একই রকম মন্তব্য করেন। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদও সেনা আইনে বিডিআর হত্যাযজ্ঞের বিচারের ঘোর বিরোধিতা করেন।
এ ধরণের অভিপ্রায় মূলত খুনিদের উৎসাহ দেওয়ারই নামান্তর। আমাদের সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যদের এবং দেশের আপামর জনগণের আজ বুঝতে বাকি নেই, বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পাঁয়তারা করেছে। বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের অনেকেই যে তথ্যটি জানে না তা হলো মেধাবী সেনা অফিসারদের খুনি পথভ্রষ্ট বিডিআর সদস্যদের রক্ষার জন্য জামায়াত-বিএনপি জোট তথা স্বাধীনতাবিরোধী আদর্শে বিশ্বাসী আইনজীবীরা খুনিদের রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
এভাবে বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচারে সম্পৃক্ত আইনজীবীদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নৃশংস এ হত্যাকান্ডে জড়িত খুনিদের রক্ষা করতে জামায়াত-বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মূলত তৎপর ছিলো। তারা নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করাসহ বিচারকে কৌশলে বাধাগ্রস্ত করারও চেষ্টা করেছে। আর বিচারকাজে জড়িত আইনজীবীদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে চলেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থি রাজনীতিবিদরা।
বাংলার মানুষ বায়ান্নতে ভুল করেনি, ভুল করেনি ঊনসত্তর, সত্তর কিম্বা একাত্তরে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, আজ তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে জাতি গণতন্ত্র রক্ষায় দৃঢ়প্রতীজ্ঞ।
এ জাতি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত হতে দেখেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রত্যক্ষ করছে এবং বিডিআর বিদ্রোহের নারকীয় ঘটনার খুনিদের বিচারের ঘোষিত রায় কার্যকর হওয়া অবলোকন করেছে।
জামায়াত-বিএনপির মায়াকান্নাকে ভুল প্রমাণিত করে বিডিআর হত্যাকান্ডের সকল অপরাধীদের সমুচিত বিচারের রায় বাংলার মাটিতে কার্যকর হয়েছে।

- বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার বসতবাড়ি
- নাটোরে তৃষ্ণার্ত মানুষকে শরবত পান করালেন এ্যাপেক্সিয়ানরা
- নাটোরে প্রাণ-এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান
- সিংড়ায় কিশোরের মৃত্যু
- নলডাঙ্গায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
- ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ
- নেপালের বিদ্যুৎ ভারত দিয়ে বাংলাদেশে আনতে দিল্লির সম্মতি
- সরাসরি ভাতা পাবেন প্রায় দুই কোটি মানুষ
- দেশের প্রথম অত্যাধুনিক সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র চবিতে
- দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পে বরাদ্দ ১৪শ কোটি টাকা
- বগুড়ায় গড়ে উঠছে সবুজ অর্থনীতির বলয়
- প্রথম ভাসমান প্যানেলের সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে
- রাশিয়া থেকে আসবে ১ লাখ ৮০ হাজার টন সার
- ৮০ ভাগ শেষ রংপুর-এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজ
- পুরো বাজেটই গরিবের জন্য : অর্থমন্ত্রী
- আজ ঢাকা জেলা আ.লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে প্রথম ও চাল উৎপাদনে তৃতীয় বাংলাদেশ
- শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ৭ হাজার কোটি টাকা
- ৬৪ জেলায় ডে-কেয়ার সেন্টার করবে সরকার
- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা
- সামাজিক সুরক্ষায় বাড়ছে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার
- আজীবন পেনশন মিলবে ১০ বছর চাঁদা দিলে
- বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে উচ্চতার শিখরে
- নারী ও শিশু উন্নয়নে বরাদ্দ বেড়েছে ৪৬৫ কোটি টাকা
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি
- নাটোরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন
- নাটোরে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন
- গুরুদাসপুরে দুই বালাইনাশক বিক্রেতাকে জরিমানা
- গুরুদাসপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু
- বাউয়েটর নতুন উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীনুর আলম
- নাটোরে শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং দৃশ্য ভিডিও, ২ কলেজ ছাত্র গ্রেফতার
- সনদ পুড়িয়ে ফেলা ইডেন শিক্ষার্থীকে চাকরি দিলেন পলক
- যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন নাটোরের তপু
- নাটোরে নতুন উদ্ভাবিত বিনা-২৫ ধানের কর্তন
- জীবনে পড়াশোনা ছাড়া কোনো সম্ভাবনা নাই: ব্যারিস্টার সুমন
- বাগাতিপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- সংসদ ভাঙলেও বহাল থাকবে সরকার
- রসুনের রাজ্যে লিচু, সুনাম ছড়াচ্ছে সারাদেশে
- নাটোরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
- দিনমজুরি করে ল্যাপটপ কিনে মাসে এখন ২ লাখ টাকা আয়
- ডলারের বদলে টাকায় নির্ধারণ হবে আকাশপথের ভাড়া
- বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে প্রথম ও চাল উৎপাদনে তৃতীয় বাংলাদেশ
- বড়াইগ্রামে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
- কোটি টাকার ঋণ বিতরণের আগে অডিট করতে হবে
- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সিংড়ায় ঘোড়দৌড় খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ঢল
- নাটোরে ডাকাতি, কুমিল্লা থেকে ৮ ডাকাত গ্রেফতার
- লালপুরে বাবা-মেয়ে একসঙ্গে দিচ্ছেন এসএসসি পরীক্ষা
- এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর করিডোর পেট্রাপোল-বেনাপোল
- লালপুরে ৪০ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন মোমিন
- নলডাঙ্গার পিপররুল ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
- ঐতিহ্য হারাচ্ছে নাটোরের তালপাখার গ্রাম
- এসকর্ট সুবিধায় জনপ্রতি ফি ৩০০ ডলার, গাড়িতে হাজার
- নাটোরে র্যাবের অভিযানে ১৬ কেজি গাঁজা সহ আটক পাঁচ
- নাটোরে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে ৩ জন কারাগারে
- হাতিরঝিলের বিদ্যুৎলাইন যাচ্ছে মাটির নিচে
- পতেঙ্গা-আনোয়ারা সংযুক্তি তিন মাস পরেই
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
- দক্ষিণ কোরিয়া চার বছরে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বাংলাদেশকে
- গামছা উড়িয়ে থামানো হলো ট্রেন,বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
