শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||
শ্রাবণ ১২ ১৪৩১
|| ২০ মুহররম ১৪৪৬
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নাটোরে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন আদালতের বিচারক। গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু ।
সাক্ষীদের আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে জেলার গুরুদাসপুর থানার আগ পুরুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক এবং আব্দুল মালেক দুই ভাইয়ের মধ্যে টয়লেট এর দুর্গন্ধ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল রাতে প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলার আগ পুরুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা করে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নাটোরের গুরুদাসপুরে আলোচিত আব্দুল খালেক হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
ওই হামলার ঘটনায় নিহত আব্দুল খালেক এর ছেলে মো. নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে আব্দুল মালেকসহ পাঁচজনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সাক্ষী করা হয় মোট ২৬ জনকে। মামলায় ইতোমধ্যেই ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
কিন্তু মামলার অন্যতম সাক্ষী মেডিক্যাল সনদ প্রদানকারী অফিসার ডাক্তার জামান নিশাত রায়হান, নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল ও নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি গ্রহণকারী বিচারক মুক্তা পারভীন দূরবর্তী স্থানে কর্মরত থাকায় আদালত তাদের ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য প্রদানের আদেশ দেন। সে মোতাবেক গত সোমবার নাটোরের জেলা ও দায়রা আদালতে ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য প্রদান করেন তারা।
বর্তমানে চিকিৎসক জামান নিশাত রায়হান লেকচারার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন্সিক মেডিসিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বিচারক মুক্তা পারভীন সিনিয়র সহকারী জজ নওগাঁ কর্মরত আছেন।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, নাটোর জেলা জজ আদালতে এই প্রথম ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের ২০২৩ সালের ২০ আগস্টের আদেশ কার্যকর করা হলো।
নাটোর জেলা আদালতের পেশকার মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রমি কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের ২০২৩ সালের রেজেষ্টার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েচে, আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ,২০২০ সনের ১১নং আইন এর ৫ ধারার ক্ষমতা বলে প্রধান বিচারপতি ‘প্রাকটিস নির্দেশনা’ জারি করেছেন, অডিও –ভিডিও বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক্স্র ডিভ্ইাসের মাধ্যমে বিচারপার্থী পক্ষগণ, তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানিসহ মামলার যে কোনো পর্যায়ে অবশ্যকরণীয় ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক ‘প্রাকটিস নির্দেশনা’।
যার ফলে আদালতে সশরীরে হাজির না হয়ে, নিজ কর্মস্থলে থেকে সাক্ষ্য দেওয়া সহজ হবে। এতে সময় ও অর্থ ব্যয় রোধে সহায়ক এবং বিচার কাজ ত্বরান্বিত হবে এবং এভাবে দূর-দূরান্তে থাকা সাক্ষীদের সাক্ষর গ্রহণ করা হলে বিচার প্রার্থীরা উপকৃত হবে।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়