শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ ||
জ্যৈষ্ঠ ২০ ১৪৩০
|| ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৪
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৩
তালপাতা সংকট ও বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর গ্রামের তাল পাখা তৈরি বন্ধ হওয়ার পথে। এক সময় পুরো গ্রাম জুড়ে তাল পাখা বানানো হলেও এখন মাত্র ৫০টি পরিবার এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন।
পাঁচ বছর আগেও নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর হাপানিয়ায় পুরো গ্রাম জুড়ে তাল পাখা তৈরি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এখানে তাল পাখা শিল্প বন্ধের উপক্রম হয়েছে। তাল পাতার সংকট ও বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ না পেয়ে এখন মাত্র ৫০টি পরিবার এই কুটির শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন।
পাখা প্রস্তুতকারক হেলাল উদ্দিন জানান, জেলায় তাল পাতার সংকট থাকায় নওগাঁ ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে পাতা কিনছেন তারা। কাঁচা পাতা শুকিয়ে পানিতে একদিন ভিজিয়ে রাখার পর পাখা প্রস্তুত করতে পরিবারের নারী পুরুষ সকলকে শ্রম দিয়ে হয়। একটি পাখা তৈরি করতে ১৭ টাকা থেকে ১৮ টাকা খরচ হয়। বিপরীতে প্রতিটি পাখা মাত্র ২০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় পরিশ্রম অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। আরেকজন পাখা প্রস্তুতকারক জানান, আগে স্থানীয় বাজারগুলোয় তাল পাখার চাহিদা থাকলেও এখন কমে এসেছে। তবে বিভিন্ন জেলার চাহিদার ওপর এই শিল্প টিকে থাকলেও পুঁজি সংকট থাকায় তারা টিকতে পারছেন না। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। এবিষয়ে নাটোর বিসিকের সহকারী উপ-ব্যাবস্থাপক দিলরুবা দিপ্তি বলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত থাকায় এই কুটির শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রশিক্ষণসহ বিসিক ঋণের ব্যবস্থাও করা হবে।’ এদিকে জেলায় তালগাছ রোপণ ও প্রস্তুতকারকদের যুবউন্নয়নের আওতায় সুদ মুক্ত ঋণ দেয়াসহ বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। পাঁচ বছর আগেও এই গ্রামে বছরের গরম কালে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ পিস তাল পাখা উৎপাদন হলেও বর্তমানে প্রতিবছর আড়াই থেকে ৩ লাখ পিস পাখা উৎপাদন হয়।
ajkernatore.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়